সেনা ইউনিটের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়বেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের জন্য সাহায্য কমিয়ে আনার মার্কিন সিদ্ধান্তের খবরের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামরিক বাহিনীর ওপর যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করতে তাঁর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গত রোববার (২১ এপ্রিল) এক ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আমার পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।’

এর আগে অ্যাক্সিওস নিউজ সাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ ব্যাটালিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।

গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কিছু ইউনিটের বিরুদ্ধে পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সামরিক সহায়তা কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবছে। জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আর আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে তৎপরতা দেখতে পাবেন বলে মনে করছি।’

তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রধান মিত্র ইসরায়েলের আইডিএফের কোনো ইউনিটের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নেটজাহ ইয়েহুদা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই তার তৎপরতা চালাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ব্যাটালিয়নটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যেসব লেখা প্রকাশিত হয়েছে সে সম্পর্কে আইডিএফ সচেতনভাবে কিছু জানে না। এতে আরও বলা হয়, আইডিএফ কাজ করছে এবং কোনো অযাচিত ঘটনা ঘটলে তার কাজ চালিয়ে যাবে বাস্তবসম্মতভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে।

এদিকে, সমগ্র পৃথিবী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বন্ধনকে দেখছে, এমনটি উল্লেখ করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে নেটজাহ ইয়েহুদার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে তা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘পুরো একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে যেকোনো উদ্যোগ আইডিএফের ওপর ছায়া ফেলবে এবং এর কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

গত শনিবার অ্যাক্সিওস তিনটি মার্কিন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নেটজাহ ইয়েহুদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন।