নবীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারলো ‘অভিজ্ঞ’ বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টির র‍্যাংকিংয়ে ১৯তম স্থানে থাকা নবীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। এটাই ছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের যে কোনো ফরম্যাটে খেলা উদ্বোধনী ম্যাচ। টেস্টখেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে এটি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জয়। এর আগে একমাত্র জয়টি এসেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে, ইতিহাস গড়ার এই দিনে ৫৮ রানের অমূল্য জুটি গড়েন হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন। তাদের জুটিতে ভড় করেই ইতিহাস লিখে টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড করলো যুক্তরাষ্ট্র।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তবে, আজও ব্যর্থ হন অফফর্মে থাকা লিটন দাস। ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ২ রানে জীবন পাওয়া লিটন করেন মাত্র ১৪ রান।

আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও সাজঘরে ফেরেন ২০ রান করে। ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক শান্তর ব্যাটেও দেখা মেলেনি ডাবল ফিগারের। তিনি ফেরেন মাত্র ৩ রান করে।

শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। তবে দলীয় ৬৮ রানে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন সাকিব। ১২ বলে ৬ রান করে আউট হন সাকিব।

এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। জুটি গড়েন ৬৭ রানের। ৪০ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন এই ব্যাটার। মারেন দুইটি ছক্কা ও ৪টি চার। দলীয় ১৩৫ রানে ২২ বলে ৩১ রানে করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর নেন ২টি উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে রান তাড়ায় শুরু থেকেই সাবলীল ছিল স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বোলিং আত্মবিশ্বাস গুঁড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেখে শুনে শুরু করেন দুই ওপেনার টেইলর ও প্যাটেল। তবে চতুর্থ ওভারে রান আউটের কাটায় পড়ে প্যাটেল বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। তিনি করেন ১২ রান, ২৭ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।

তিনে নেমে লড়াইয়ের আভাস দেন অ্যান্ড্রিস । তাকে থামিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন রিশাদ হাসান। এরপর দলীয় ৭৫ রানে ভাঙে ওপেনারের টেইলরের প্রতিরোধ। মুস্তাফিজের অফ কাটারে মিড অফে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৮ রানে ফেরেন স্বাগতিক ওপেনার।

৭৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেয় যুক্তরাষ্ট্র। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডার, ছোট ছোট ইনিংসে সবাই চেষ্টা করেন ভূমিকা রাখতে। নেন বাংলাদেশি বোলারদের পরীক্ষা। শেষ দিকে হারমিত সিং আর কোরি অ্যান্ডারসন মিলেই লেখেন জয়ের গল্প। তাদের ব্যাটিং ঝড়ে তিন বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আমেরিকা।

২৫৩ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ১৩ বলে ৩৩ রান করেন হারমিত সিং। অন্যদিকে কোরি অ্যান্ডারসন করেন ২৫ বলে ৩৪ রান।