মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করেছে সশস্ত্র বাহিনীর একটি অংশ। তবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইলভেইন একেঞ্জে।
রোববার (১৯ মে) সকালে দেশটির প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ভিটাল কামেরহের বাড়িতে হামলা চালায় ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত সেনাদের একটি দল। তবে ওই সময় মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গার্ডরা তাদের রুখে দেয়।
এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য এবং এক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া এর সঙ্গে জড়িত থাকা কয়েকজন কঙ্গোলিজ এবং বিদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, “কঙ্গোলিজ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী শুরুতেই এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা থামিয়ে দিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
কঙ্গোতে গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তাসিসকেডির ক্ষমতাসীন দলের সংসদীয় নেতা নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা চলছে। গতকাল শনিবার এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি স্থগিত করে দেওয়া হয়।
প্রভাশালী রাজনীতিবিদ ভিটাল কামেরহ সংসদের স্পিকার হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কঙ্গোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যারা অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করেছে তারা কঙ্গোর সেনা। এই সেনারা ভিটাল কামেরহকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
ওই এলাকা থেকে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেখানে সেনাবাহিনীর ট্রাক এবং ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত সেনারা রয়েছে।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওইদিন তিনি তাদের সতর্ক করে বলেন, যদি চলমান অচলাবস্থা দূর করতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে ফেলিক্স তাসিসকেডি পুনরায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে বিরোধী দলগুলোর দাবি এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে।