পুরো হল কানায় কানায় পূর্ণ বাংলাদেশি দর্শক-শ্রোতায়। দিনব্যাপী নাচে গানে তারা মাতলেন বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পীদের পরিবেশনায়।
শনিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের ক্রাফট কালচারাল কমপ্লেক্সে হয়ে গেলো এমনি জমকালো আয়োজন।
‘বৈশাখী উল্লাস ১৪৩১’ শিরোনামে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বিডি এলিট ক্লাব মালয়েশিয়া’ নামে প্রবাসীদের একটি সংগঠন।
প্রথমে মঞ্চে আসেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। অভিনয় নয়, গানের মাধ্যমে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। ‘নিথুয়া পাথারে’-সহ বেশ কয়েকটি গান শুনিয়ে ও কিছু বার্তা দিয়ে মঞ্চ ছাড়েন তিনি। পরে দর্শক সারিতে অতিথিদের সঙ্গে বসে আলোকিত করে রাখেন পুরো হল।
তারপর শুভ্র পোশাকে মঞ্চে আসেন ৭২ বছর বয়সী বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল। বাউল আর সুফি গানে তিনি মুগ্ধ করেন প্রবাসীদের। প্রবাসে কী পরিমাণ বাউলগানের ভক্ত আছে, বোঝা গেল তার গানে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে।
নাচ, গান, হৈচৈ আর উল্লাসের মধ্যে মঞ্চে আসেন ‘মীরাক্কেলখ্যাত’ সাইদুর রহমান পাভেল। পাভেল তার কথায় কথায় মঞ্চে ডাকেন কণ্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা মেরিকে।
চট্টগ্রামের মেয়ে মেরি গানে গানে মাতিয়ে তুলেন পুরো হল। তার গানে প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠে তরুণ দর্শকরা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা’ এবং ‘ও রে সাম্পানওয়ালা’-সহ অনেকগুলো গান শোনান তিনি।
সবশেষে মধ্যরাত পর্যন্ত গান শোনান কণ্ঠশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা। তিনি স্মরণ করেন সদ্যপ্রয়াত বাউলশিল্পী পাগল হাসানকে।
অনুষ্ঠানে বিকেলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান। রাতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাই কমিশনের প্রথম প্রেস সচিব সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।
প্রবাসী ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ উৎসবে দর্শকদের জন্য কোন প্রবেশ ফি ছিল না। ফলে আগ্রহী প্রবাসীরা এসেছেন, গান শুনেছেন এবং উল্লাসে মেতেছেন।
অনুষ্ঠানস্থলে ছিল বাংলাদেশি খাবারের স্টল। গানের ফাঁকে ফাঁকে বৈশাখী মেলায় দেশী খাবারের স্বাদ নিয়েছেন প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়া সফরে আসা বাংলাদেশি শিল্পীদের গানে দর্শক-শ্রোতাদের এতো আনন্দ করতে ‘এর আগে দেখা যায়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেক প্রবাসী। এমন উৎসব প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা তাদের।