সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এক প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন। তিনি ‘আর্থিক টানাপোড়েন ও পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা’ করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তার নাম মোহাম্মদ ফারুক সরকার (৩৪)। বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সখিপুর গ্রামের বারপাড়ায়, বাবা মো. শাহাদাত হোসেন সরকার একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ফারুক মারা যান বলে খবরটি নিশ্চিত করেছে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস।
ফারুকের বন্ধু আরেক প্রবাসী আকতার জামান ফাহিম বলেন, “ওইদিন দুবাইয়ের কিসিসের আল জারুনি বিল্ডিং-এ ফারুকের বসবাসের রুমের সবাই যখন কাজে তখন প্রতিবেশী রুমের লোকজন তাকে দেশে পরিবারের সঙ্গে ফোনালাপে উত্তেজিত অবস্থায় দেখেন। ফোনালাপ শেষে ফারুক ভবনটির ছাদে একটি শূন্য কক্ষে গামছায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।”
দুবাইয়ে কর্মরত মৃতের মামাশ্বশুর আকতারুজ্জামান জানান, ফারুক ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুবাই এয়ারপোর্ট লিমোজিন সার্ভিসে ক্যাবচালক হিসেবে কাজ করতেন। পরে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চাকরি চলে গেলে তিনি মোটর স্ক্র্যাপ ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসার টানাপোড়নের মধ্যেও তিনি তার ছোট ভাইকে নিজের খরচে ফ্রান্সে পাঠান। ব্যবসা ও ভাইকে ফ্রান্সে পাঠানোর জন্য তাকে ধার দেনা করতে হয়। সম্প্রতি ব্যবসায় উপর্যুপরি লোকসানের মুখে তিনি ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তা সফল না হওয়ায় মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে ছিলেন।
আকতারুজ্জামান জানান, ফারুক ১৬ বছর ধরে দুবাইয়ে বসবাস করছিলেন। বাংলাদেশে তার বাবা-মা, দুই ভাই ও দুই বোন আছেন। ভাই-বোনের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ ছিলেন। নিজের পরিবারে তার স্ত্রী, ৫ ও দেড় বছরের দুটি মেয়ে আছে।
দুবাই কনস্যুলেট জানায়, ফারুকের লাশ কিসিস পুলিশ উদ্ধার করে তাদের হিমঘরে রেখেছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা দেশে পাঠানো হবে।
সূত্র : বিডি নিউজ